Sunday, November 8, 2015

মজা করেই বললেন, ‘এখন খেলার চেয়ে এগুলো বেশি উপভোগ করি মনে হয়। কিছু না হলে খেলতে বরং ভালো লাগে না।’মাশরাফি জানালেন, শরীর এখনো পুরো সেরে ওঠেনি, ‘শারীরিকভাবে দুর্বলতা এখনো আছে। ৪ ওভার পর যখন উইকেট পেলাম, তখনই চিন্তা করেছি আরও বল করবও। চেষ্টা করছিলাম ৫-৬ ওভার পর্যন্ত নিজেকে জোর করে হলেও বল করানো। এটা আমার পরিকল্পনাতেই ছিল।’ওয়ানডেতে এমনিতে ২০০ উইকেট আগেই পূর্ণ হয়েছিল। এশিয়া একাদশের হয়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন বলে। তবে নামটা যখন মাশরাফি, লাল-সবুজ যাঁর হৃদয়ে আঁকা, সেই তিনি নতুন করে উদ্বেলিত তো হবেনই। ২০০ উইকেট পাওয়ার অভিজ্ঞতা নতুন না হলেও দেশের হয়ে সেটি পূরণ করার রোমাঞ্চ মাশরাফির কাছে তাই অন্য রকম, ‘বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারা সব সময়ই আনন্দদায়ক।’নামের পাশে ম্যাচ আর উইকেট সংখ্যা দুটোই বাড়তে পারত অনায়াসে। কেবল হাঁটুতেই সাতটি অস্ত্রোপচার, ভাবা যায়! আর কেউ হলে হয়তো ঠিকানা হতো হুইল চেয়ার। সেখানে মাশরাফি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানুষটা মাশরাফি বলেই সম্ভব। তবে সেই সরল মনে একটু হলেও দাগ কেটে যায় আফসোস, ‘সবাই জানেন আমার জীবনে অনেক ইনজুরি ছিল। ভারত সিরিজের পর হঠাৎ​ দুর্ঘটনা, রিকশা অ্যাকসিডেন্ট। আর এবার তো ডেঙ্গু্ই গেল সিরিজের আগ মুহূর্তে।’এসব নিয়ে হতাশ হওয়ার চেয়ে নতুন প্রেরণাই নেন বেশি। এই কৌতুকে মিশে থাকল হাহাকারও। তবে নতুন চ্যালেঞ্জে সব সময়ই নিজেকে উজ্জীবিত করা মাশরাফি বললেন, ‘এখনো মনে করি না দেশের জন্য এমন কিছু করতে পেরেছি। দোয়া করবেন সামনে যেন কিছু করতে পারি।’সেই দোয়া মাশরাফি না চাইলেও পাবেন। তাতে ১৬ কোটি মানুষের ৩২টি হাতই শামিল হবে নিশ্চিত!আর তিনি মনে করেন যে মানুষের দোয়া মিছ যায়না সফলতার গন্ডিতে গিয়েই ছাড়ে |

লেখকঃ আরেফিন আশিক